সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাজারীবাগের ঝাউচর আমড়া টাওয়ার এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে। রাজধানীর হাজারীবাগে জুলেখা বেগম (৪৫) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকায় তার সাবেক স্বামীকে গ্রেফতার করেছে হাজারীবাগ পুলিশ।
জুলেখা বেগমকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রাত পৌনে ৯টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। নিহত জুলেখা বেগম বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার আলুয়া গ্রামের নুর উদ্দিন শেখের মেয়ে। রাজধানীর হাজারীবাগ ঝাউচর এলাকায় হালিমের ভাড়া বাসায় থাকতেন। আগের স্বামীর ঘরের এক মেয়ে এক ছেলে রয়েছে তার।
হাসপাতালে নিয়ে আসা নিহতের আত্মীয় শাহিদুল মোল্লা ও বর্তমান স্বামী কবির হোসেন এসব তথ্য জানান। করিরের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে জুলেখার আগের স্বামী নজরুল শেখ বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। তারা জানান, পারিবারিক কলহের কারণে তার সাবেক স্বামী নজরুল ইসলামের সঙ্গে দু’মাস আগে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পরে ১৫ দিন আগে সাবেক স্বামীর চাচাতো ভাই কবিরকে বিয়ে করেন জুলেখা বেগম।
সোমবার রাতে যখন জুলেখা বাসা-বাড়ির কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন। তখন পথে ঝাউচর আমড়া টাওয়ারের সামনে সাবেক স্বামীসহ কয়েকজন মিলে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে আহত করে। ডিএমপির হাজারীবাগ থানার ওসি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, জুলেখা বেগমকে ধারালো চাকু দিয়ে বুকে আঘাত করে হত্যা করেছে তার সাবেক স্বামী নজরুল ইসলাম। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে নজরুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় স্থানীয়রা নজরুল শেখকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।